ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে রাবারড্যামের ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক

Exif_JPEG_420এম আবু হেনা সাগর ঃ নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও :::

কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে জেলার অন্যান্য স্থানের ন্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর জালালাবাদ রাবারড্যাম পয়েন্টে ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ৫ জুলাই সকাল দশটার দিকে জালালাবাদের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন পরিদর্শনে আসেন- জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খায়রুজ্জামান, ঈদগাঁও রিপোটার্স সোসাইটির সভাপতি এম আবু হেনা সাগর। জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আরমান উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, মোক্তার, নুরুল আলম ও মনজুর আলম, পরিদর্শনে আসা নেতৃবৃন্দদেরকে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে ছিলেন- সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, ছলিম উল্লাহ জিহাদী, শফিকুল ইসলাম, আবদু রহিম, আবছার কামাল, রাসেদুল হক সহ বিপুল সংখ্যক লোকজন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক বন্যাদূর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রীর সহায়তার আশ্বাস প্রদানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকজন যাতে কষ্ট থেকে মুক্তি পায় সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি রাখার প্রতি আহবান জানান। প্রসঙ্গত- সাম্প্রতিক সময়ে টানা বৃষ্টিপাতে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছিলো বৃহত্তর এলাকার সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন। জালালাবাদ রাবারড্যাম পয়েন্টে ভাঙ্গনের কারণে পোকখালী- জালালাবাদ হয়ে জেলা সদরের গুরুত্ববহ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে যানবাহন চলাচল কিংবা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যাতে করে শত শত পেশাজীবি, চাকরিজীবি, হতদরিদ্র এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নানা কষ্টের বিনিময়ে পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আসতে হয়। এত কষ্ট সহজে মেনে নেওয়া যায় না। সে সাথে গেলো প্রবল বৃষ্টিপাতে ঐ ভাঙ্গনের ফলে ঢলের পানি জালালাবাদ ইউনিয়নের বটতলী পাড়া, পালাকাটার অসংখ্য ঘরবাড়ি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে, এখনো তারা ক্ষত শুকিয়ে উঠতে পারেনি। জালালাবাদের প্রধান সড়কটি ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে। চলাচলের কোন প্রকার পরিবেশই নেই। দ্রুত সময়ে চলাচল রাস্তা সংস্কার করে জন ও যান চলাচল স্বাভাবিক করার আহবান জানান বিশাল এলাকাবাসী। আবার মোহনভিলা এলাকায় প্রায় ৩/৪ শত বাড়িঘর এখনো পানিতে হাবু-ডুবু খাচ্ছে। চুলাই আগুন জ্বালাতে না পারায় অনেকে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছে বলে জানান স্থানীয় এমইউপি মনজুর আলম। অপরদিকে উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর দক্ষিণ নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ঢলের পানিতে বিষিয়ে উঠছে প্রায় দুইশতাধিক পরিবার। তারা এখনো পানিবন্দি বলে জানান ঐ এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। এদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের পালপাড়া, ভোমরিয়া ঘোনা, দরগাহ পাড়া এলাকার লোকজন বৃষ্টি আর ঢলের পানির কারণে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। এমনকি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অসহায় ও পানিবন্দি লোকজনের মাঝে শুকনো খাবার ও প্রদান করেন। এখনো পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে।

#######################

জনগুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ঃ দূর্ভোগে মানুষজন

 নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও ::

গুরুত্ববহ সদরের ঈদগাঁও আর রামুর পাহাড়ী ইউনিয়ন ঈদগড় যোগাযোগ সড়কটি প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে আর পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। যার ফলে উক্ত সড়কে যানবাহন চলাচল অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে সাথে খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার নষ্ট হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যাতে করে- দিবারাত্রী নানা যানবাহন ও জন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে প্রায়শ। এমনকি মরণ দশায় পতিত হয়ে পড়েছে এ সড়কটি। অসহায় লোকজন প্রতিনিয়ত যানবাহন নিয়ে নানা কষ্ট আর দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাতায়াত করে যাচ্ছে। উক্ত সড়কের গজালিয়া পয়েন্টে একটি ব্রীজ আদৌ পরিপূর্ণ নির্মিত না হওয়ায় চলাচলে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে পথচারীরা জানান। প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার ক্রাইম সড়ক খ্যাত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কটি দীর্ঘকাল ধরে এই করুন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি অসংখ্য ঈদগড়-বাইশারীর লোকজন জেলার দ্বিতীয় বানিজ্যিক নগরী খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে আসতে নানা ভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি ঈদগাঁওর মানুষজন হরেক রকম কাজে কর্মে ঈদগড়ে যাতায়াত করতেও নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চালকরাও সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাজ থেকে। এদিকে উক্ত সড়কের পানের ছড়া নামক স্থানে প্লাবিত পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যান চলাচল করতে পারছে না। সড়কের দু’দিকে ভাঙ্গা রাস্তা পেরিয়ে গাড়ি পাল্টিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ কর্মে যেতে হয় বলে দেশ-বিদেশের এ প্রতিনিধিকে জানান ঈদগড়ের সচেতন ব্যক্তি জাফর আলম জুয়েল। তিনি আরও জানান- ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে মানুষজনের যাতায়াতের দূর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা বানিজ্য থমকে গেছে। এহেন অবস্থা পরিত্রান পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর দাবী করেন তিনি। এ সড়কের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া পয়েন্টে নির্মানাধীন একটি ব্রীজের কারণে উভয় দিকের শত শত লোকজন দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে চলাচলের ক্ষেত্রে। সে সাথে এ এলাকার যোগাযোগ সড়ক জুড়েই বড় বড় খানাখন্দকে ভরপুর বললেই চলে। ঐ স্থানে গিয়ে যাত্রীদেরকে নামিয়ে ভাঙ্গা পেরিয়ে আবারও যাত্রীদেরকে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। মুমুর্ষ রোগী হলেতো কথায় নেই। এভাবে চলছে এ এলাকার অসংখ্য মা-বোন। এই সড়কের হাজার হাজার চলাচলকারী লোকজন, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীদেরকে এই মরণ দশার কবল থেকে কবে মুক্তি পাবে এই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অসহায় মানুষজন। । সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে গজালিয়া পয়েন্টে ভাঙ্গনের কারণে সরাসরি যানবাহন চলাচল অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার গেল পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টির পানিতে ব্যাপক কর্দমাক্ত আর পানির কারণে অর্ধেক যোগাযোগ চলছে যানবাহনের। ঐ স্থানে পার হয়ে অন্য যানবাহন নিয়ে ঈদগড়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান ঐ চালকরা। এভাবে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত কষ্ট আর দূর্ভোগ যেন ভোলার নয়।

######################

ঈদগাঁওকে বন্যাদূর্গত এলাকা ঘোষনার দাবী রিপোটার্স সোসাইটির

 নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও :::

সাম্প্রতিক সময়ে টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে জেলা সদরের গুরুত্ববহ বিশাল এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁও বর্তমানে লন্ডভন্ড বললেই চলে। পাশাপাশি বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে অসংখ্য ঘরবাড়ি এখনো পানিবন্দি। তাই অসহায় এলাকাবাসীর দিকে দৃষ্টি রেখে বৃহত্তর ঈদগাঁওকে বন্যাদূর্গত এলাকা ঘোষনা সহ পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দ্রুত পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী প্রদানে জোরদাবী জানান- আর্তমানবতার সেবায় একঝাক তরুণ কলম সৈনিকদের সংগঠন ঈদগাঁও রিপোটার্স সোসাইটির নেতৃবৃন্দরা। যথাক্রমে তারা হলেন- সংগঠনের সভাপতি এম আবু হেনা সাগর (আজকের দেশ-বিদেশ), সহ সভাপতি শফিউল আলম আযাদ ( দৈনন্দিন), সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা শাহিদ (সকালের কক্সবাজার), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম রোস্তম আলী (রূপালী সৈকত), সাংগঠনিক সম্পাদক আশফাক উদ্দিন আরফাত (দেশ নিউজ ২৪ ডটকম), সদস্য মিছবাহ উদ্দিন (কক্সবাজার-৭১), এম সরওয়ার সিফা (বে-বেঙ্গল নিউজ), রফিক উদ্দিন লিটন (কক্সবাজার বানী), মফিজ উদ্দিন মফি, হাফেজ বজলুল রশিদ ও নেজাম উদ্দিন। উল্লেখ্য যে, প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা- ছয় ইউনিয়ন ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ব্যাপক আকারে ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য বাড়ি ঘরে পানিবন্দি হওয়ায় অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।

পাঠকের মতামত: